
আমতার আনিস মৃত্যুতে সিট গঠন মমতার নিজস্ব প্রতিবেদন: আনিস খান মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশের ডিজির নেতৃত্বে সেই সিট গঠন করা হচ্ছে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। সোমবার সকালে মৃতের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য, কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। আর তার কয়েকঘন্টার ব্যবধানেই আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনিস মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনীতির রং লেগেছে। তাঁর পাড়ার একাংশের দাবি, আনিসের সঙ্গে শাসক দল তৃণমূলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতান্তর ছিল। যার জন্যই তাকে খুন হতে হয়েছে। এই তত্ত্ব নিয়েই সরব বিরোধী শিবির। কীভাবে পুলিশ বাড়িতে ঢুকে আনিস খানকে ছাদ থেকে ‘ঠেলে’ দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, ‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। আনিসের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ভালো ছিল। যাঁরা এখন টেলিভিশনে দর্শনধারী হতে গিয়েছেন, তাঁরা জানেন না, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। আমাদের অনেক হেল্পও করেছিলেন ইলেকশনে। কাজেই ও আমাদের ফেভারিট ছিল।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর মৃত আনিসের দাদা সাবির খান বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদের ভরসা রয়েছে। কিন্তু চাই ভাইয়ের খুনীদের ধরতে সিবিআই তদন্ত হোক। উনিও খুনীদের ধরার চেষ্টা করুন।’ এর আগে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে আনিস খানের পরিবারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, আনিসের বাবা সালেম খান অসুস্থ, তাই রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আনিসের পরিবারের কেউ যাবেন না। মৃতের দাদার আর্জি, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বাড়িতে এসে বাবার সঙ্গে দেখা করে যান।’ এদিকে আজ, সোমবার খুন হওয়া ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সালেম খানের কাছে রাজ্য সরকারের চাকরির প্রস্তাব আসে। কিন্তু সালেম খান স্পষ্ট জানিয়ে দেন আগে ছেলের খুনের বিচার চাই। চাকরির কথা পরে ভাবা যাবে। আগে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।