
সৌমিতা খাঁ/ সংবাদ সংস্থা : ৮ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে মুখোশ প্রদর্শনী কলকাতার গগনেন্দ্র প্রদর্শনশালায়। পুরুলিয়া থেকে কোচবিহার এ বিখ্যাত এই মুখোশ। কোভিড মহামারীর জেরে প্রত্যেক মুখোশ তৈরি শিল্পীদের ঘরে জমেছে মুখোশের পাহাড়। উপার্জনের পথে পড়ছে তালা। তাই তাদের কথা চিন্তা করেই এই উদ্যোগ।প্রদর্শনীর মুখ্য উদ্যোক্তা শর্মিলা সেন। প্রদর্শনশালাতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন, নৃত্য শিল্পী অলকানন্দা রায়, পরিচালক গৌতম ঘোষ। প্রথমদিন থেকেই জমেছে ভিড়। পশ্চিমবঙ্গের লোকনৃত্যের ক্ষেত্রে মুখোশের ব্যবহার দেখা যায়। পুরুলিয়া ছৌ নাচে মুখোশের ব্যবহার হয়। মালদা জেলায় গম্ভীরা উৎসবের গম্ভীরা নৃত্যের সময় গম্ভীরা মুখোশ ব্যবহৃত হয়। পৌরাণিক চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে ও লোকসংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে মুখোশের ব্যবহার হয়। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে রয়েছে শিল্পের সমাহার। আছে ছোট, বড় বহু শিল্প রীতি। এই শিল্পগুলির সাথে জুড়ে রয়েছে মানুষের আবেগ ও ভালোবাসা। এরই মধ্যে এক জনপ্রিয় শিল্প হল মুখোশ শিল্প। এই শিল্প গুলিকে বাঁচিয়ে রাখাই হল আমাদের কর্তব্য। এই মুখোশ গুলির দাম প্রায় দু হাজার থেকে চল্লিশ হাজার টাকার কাছাকাছি।