
স্নেহা শেঠ/ সংবাদ সংস্থা:পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে তাঁর ভূমিকা বিভিন্ন স্তরে প্রশংসিত হয়েছিল। রাজ্যের সাম্প্রতিক চারটি ধর্ষণ মামলার তদন্তেও তাঁকে নজরদারির ভার দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন সেই চারটি মামলার তদন্তে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। গত ১২ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে ধর্ষণের মামলাগুলি উঠেছিল। সেইসময় উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া ও দেগঙ্গা, মালদার ইংরেজবাজার এবং কলকাতার বাঁশদ্রোণী- এই চারটি ধর্ষণের মামলায় তদন্ত কমিটি গঠন করে হাইকোর্ট। আর তার নেতৃত্বে রাখা হয় দময়ন্তীকে। সেইসময় প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিতে কোনও আপত্তি থাকলে তা ২০ এপ্রিল জানাতে পারেন দময়ন্তী। ২০ এপ্রিল চারটি ধর্ষণের মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট।বিজেপির লিগ্যাল সেলের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত রাজ্যে সাম্প্রতিক চারটি ধর্ষণ মামলার আবেদনকারিণী। মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকার রাস্তায় আলো না-থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। এ দিন রাজ্য বিদ্যুত্ বণ্টন সংস্থার বক্তব্য জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। রাজ্য সরকারের এজি-কে বলা হয়েছে, কাল, শুক্রবারের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্টের প্রতিলিপি সুস্মিতাদেবীকে দিতে হবে। তার এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্মিতাদেবী নিজের বক্তব্য জানাবেন। ওই চারটি ধর্ষণ মামলার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার একটি ঘটনা নিয়ে আলাদা একটি মামলা হয়েছিল। সেটি দায়ের করেন সুমিত্রা ভট্টাচার্য নিয়োগী নামে অন্য এক আইনজীবী। একই সঙ্গে শুনানি হচ্ছে সেটির। সুমিত্রাদেবী জানান, রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে তদন্ত রিপোর্টের প্রতিলিপি দেওয়া হয়নি। কোর্টের নির্দেশে প্রতিলিপি হাতে পেলে তিনি তদন্তের বিষয়ে নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন।