
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে বাংলা। তাই স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে দূরপাল্লার ট্রেন। যাত্রীসংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে আবার করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ট্রেনের কোচের সংখ্যা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে রেল। এখন ২৩, ২৪ বা ২৬ বগির ট্রেন হাওড়ায় দাঁড়াতে পারে এমন প্ল্যাটফর্ম মাত্র একটি। ফলে বেশি সংখ্যার বগিযুক্ত ট্রেন এলে ওই প্ল্যাটফর্ম সবসময় খালি পাওয়া যায় না। স্টেশনে ট্রেন ঢুকতে সময় লেগে যায়। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পরিকাঠামো ঢেলে সাজছে। হাওড়ার ১, ৮, ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মকে সম্প্রসারিত করা হবে। প্রথমিক অনুমোদন পাওয়ার পর এবার চালু হচ্ছে টেন্ডার প্রক্রিয়া। জানা গেছে, “সম্প্রসারণের কাজ খুব শিগগির হবে। এই মুহূর্তে চারটি প্ল্যাটফর্ম বাড়ানোর পাশাপাশি নিউ কমপ্লেক্সে আরও দু’টি নতুন প্ল্যাটফর্ম ২৪ ও ২৫ তৈরি করা হবে একই সঙ্গে। এই কাজের জন্য ইয়ার্ডের আমূল পরিবর্তন ঘটানো হবে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে তীর্থক্ষেত্রে যাতায়াতকারী ট্রেনের জন্য যে পিলগ্রিম প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তা ভেঙে ফেলবে রেল। ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে যে ভিআইপি সাইডিং রয়েছে, তা বন্ধ করা হবে। ১৪, ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মটি সম্প্রসারিত করতে দক্ষিণ—পূর্ব রেলের লাইনের পাশে অনেক জায়গা রয়েছে। ফলে প্ল্যাটফর্ম লম্বা করতে সমস্যা হবে না। নিউ কমপ্লেক্সে দু’টি নতুন প্ল্যাটফর্মের (২৪ ও ২৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম) জন্য যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। পাশাপাশি এও জানা গেছে, খোলনলচে বদলে ফেলা হচ্ছে টিকিয়াপাড়া ইয়ার্ড৷ সিগন্যাল, ক্রসিং পয়েন্ট, কার্ভ, সব কিছু বদলে নতুন করা হবে। নতুন পয়েন্ট সেট করা হবে। অপ্রয়োজনীয় এমন বহু কিছু সরঞ্জাম রয়েছে, যা তুলে ফেলা হবে। সিগন্যাল, ক্রসিং পয়েন্ট, কার্ভ, সব কিছু বদলে নতুন করা হবে। নতুন পয়েন্ট সেট করা হবে। অপ্রয়োজনীয় এমন বহু কিছু সরঞ্জাম রয়েছে, যা তুলে ফেলা হবে। এজন্য হাওড়া স্টেশনে ঢোকা বা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেন কিছুটা বিলম্ব করে। অনেক সময় ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। অহেতুক এই সময় নষ্ট বন্ধ হবে। লিলুয়া থেকে হাওড়া স্টেশনে ঢুকতে দুই থেকে পাঁচ মিনিট কম সময় লাগবে