
নিজস্ব প্রতিবেদন :গৃহস্থের বোঝা বাড়িয়ে এখনই তাঁদের কাছে অপ্রিয় হওয়ার পথে হাঁটতে চায় না মোদী সরকার। ফলে আপাতত অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জ্বালানিতে খাঁড়া নামছে|গৃহস্থের হেঁশেলে ব্যবহারের রান্নার গ্যাসের দাম এই দফায় বাড়ল না হয়তো ঠিকই। কিন্তু তাঁদের উদ্বেগ বহু গুণ বাড়িয়ে হোটেল-রেস্তরাঁয় ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার মার্চে ১০৮ টাকা বেড়ে ২০০০ পেরোল কলকাতায়। ফলে আশঙ্কা বাড়ির সিলিন্ডারের দামও হয়তো বাড়বে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, পেট্রল-ডিজ়েলের মতো রান্নার গ্যাসের দামও যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভার ভোটের দিকে তাকিয়ে স্থির, সেটা মোটামুটি পরিষ্কার।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম বৃদ্ধির জেরে গার্হস্থ্য সিলিন্ডারে কোনও প্রভাব না পড়লেও পরোক্ষ ভাবে পকেটে চাপ বাড়তে চলেছে মধ্যবিত্তেরই। কারণ, বাণিজ্যিক গ্য়াসগুলি মূলত হোটেল-রেস্তোরাগুলিতেই ব্যবহৃত হয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবে এই সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি হলে হোটেল রেস্তোরাতে খাবার খরচ বাড়বে, যা আখেরে গুনতে হবে ক্রেতাকেই।সাধারণ মানুষ রান্নার জন্য যে ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজির সিলিন্ডার কেনেন, তার দাম এখন ৯২৬ টাকা (কলকাতায়)। তবে আগামী দিনে তা কোথায় পৌঁছবে সেই প্রশ্নে দুশ্চিন্তা বাড়ছে এটিএফ এবং বাণিজ্যিক সিলিন্ডারকে দেখে। তেল সংস্থা সূত্রের খবর, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের পাশাপাশি রান্নার গ্যাসের মূল দুই উপাদান প্রোপেন ও বুটেনের দামও বেড়েছে। ফলে তা না-কমলে পরের মাসে সব রকম গ্যাসের দাম বৃদ্ধিরই আশঙ্কা।কোভিডের জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল হোটেল ও রেস্তোরাগুলি। লকডাউনের রাশ আলগা হলেও ভীতি ছিল। এরমধ্যেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাচ্ছিল হোটেল ও রেস্তোরাগুলি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বারেবারে দাম বাড়ছে বাণিজ্যিক গ্য়াসের। ফলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।