
সংবাদ সংস্থা: গত শনিবার রাতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাটি দেখে ফিরছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। হঠাৎই হরিণঘাটার কাছে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর কোনোরকম ক্ষতি হয় নি। তবে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের উপর হামলার জেরে তাঁর নিরাপত্তায় এবার এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রানাঘাটের সাংসদের জন্য ২ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ২ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়েই তিনি পরবর্তী কর্মসূচিগুলিতে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবার বোমা হামলার অভিযোগ ওঠার পরই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সাংসদ অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁর উপর হামলা চালায়। এর আগেও অবশ্য সিনেমাহলে এই সিনেমার শো চলাকালীন কিছুক্ষণের জন্য ব্ল্যাকআউট হয়ে যাওয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন জগন্নাথ সরকার। এমনকি অনলাইনে টিকিট কাটলেও তাঁকে প্রেক্ষাগৃহে ঢুকতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। যদিও ঘটনাটি ঘটার পর এখনও দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি । তা নিয়ে ক্ষোভ সরব হচ্ছে বিজেপি। যদিও এর আগে মার্চের শুরুতেই জগন্নাথ সরকারের জন্য বরাদ্দ চারজন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হলেও, হঠাৎই তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় গেরুয়া শিবিরের মধ্যেও জল্পনা শুরু হয়েছে। এবিষয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে দলের তরফে কথা বলা হচ্ছে। যাতে নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেই অনুরোধ করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন যে, “নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর কেন্দ্র এই নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সেটার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” ফলে এই মুহূর্তে তাঁর কোনও নিরাপত্তারক্ষীই ছিল না। ফলে এই অবস্থায় তাঁর উপর এই হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা বাড়াল রাজ্য সরকার। এদিকে, তাঁর উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দিনভর কলকাতা ও জেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখান বিজেপিকর্মী সমর্থকরা। কলকাতাতেও পোস্টার, প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল চলে। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে সেখানে সাংসদের উপর হামলার প্রতিবাদে সামিল হবেন বিধায়করা।