
স্নেহা শেঠ/ সংবাদ সংস্থা:২৯ মার্চ থেকে ঠাকুরনগরে শুরু মতুয়া ধর্মমেলা।৩০ মার্চ অর্থাত্ বুধবার হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। ২০২০ সালে গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে রাজ্যে সরকারি ছুটির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এর আগে ১০ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষে ছুটি দেওয়া হত। কিন্তু মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস পালিত হয়। তাই ১০ এপ্রিলের পরিবর্তে ৩০ মার্চ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হল। শুক্রবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার একথা ঘোষণা করে। তবে অনেকেই মনে করছেন মতুয়াদের মন জয়ে তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবির গত কয়েকবছর ধরে একেবারে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কে কতটা ঠাকুরবাড়ির ঘনিষ্ঠ হতে পারবে তা নিয়েই তুমুল প্রতিযোগিতা। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে মতুয়া কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতি তৃণমূল বিজেপির একটা দুর্বলতা রয়েছে। বিজেপি সরকার ইতিমধ্যেই তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। একুশে বিধানসভায় মতুয়া ভোটব্যাংক এর প্রতি একটা আশা ছিল বিজেপির। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খোদ কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের ভিটেয় মতুয়া মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন। তবে সেই ক্ষেত্রে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে পদ্ম ফোটাতে না পারলেও, মতুয়ারা কিছুটা হলেও বিজেপির মান রেখেছিল।। মতুয়াদের উত্সব উপলক্ষে আরও কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতি বছরই এই উত্সব ঘিরে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। ঠাকুরনগরে এই সময় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। ট্রেনে, বাসে উপচে পড়ে ভিড়। সেই ভিড় কমাতে ঠাকুরনগর পর্যন্ত বিশেষ বাস পরিষেবার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। তাছাড়াও এই মেলায় যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ যোগ দিতে পারেন, তার জন্য আন্দামান থেকে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত বিশেষ জাহাজের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ঠাকুরনগরে আসার জন্য ১৫টি অতিরিক্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।