
সৌম্যদ্বীপ দাস/ সংবাদ সংস্থা: মানব দেহে শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ইউনভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল স্কুলের চিকিৎসকরা।কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।প্রায় দুমাস পর মৃত্যু হল সেই ব্যক্তির। উল্লেখ্য,৭ জানুয়ারি ডেভিড বেনেট নামে ৫৭ বছরের এক মার্কিনির শরীরে শূকরের হার্ট প্রতিস্থাপিত করা হয়। যে শূকরের হার্টটি অপারেশনে ব্যবহার করা হয়েছে সেটির ১০ টি জিন ‘এডিট’ করা হয়েছিল। প্রত্যাখ্যানের জন্য দায়ী তিনটে জিনকে প্রথম বাদ দেওয়া হয়। তারপর সেই জিনটিকে বাদ দেওয়া হয় যেটি শূকরের হার্টের মাত্রাতিরিক্ত বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী। এরপর ছ’টা মানুষের জিন প্রবেশ করানো হয় সেই শূকরের ডিএনএতে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১০ টি জিনের অদলবদল হয়। তবু শেষরক্ষা হল না। এই অপারেশন সাফল্য না পেলেও ভবিষ্যতে সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী চিকিৎসকেরা। তবে মানব দেহে পশুর অঙ্গ ব্যবহার এইপ্রথম নয় এর আগে ১৯৮৪ সালে বেবুনের হার্ট একটি সদ্যোজাত শিশুর শরীরে বসানো হয়েছিল। অস্ত্রোপচার সফলও হয়। কিন্তু শিশুটি ২০ দিনের বেশি বাঁচেনি।