
নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামী সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে দেশের পাঁচ রাজ্যের চলমান বিধানসভা নির্বাচন। তার পরই বাড়তে পারে পেট্রোল-ডিজেলের খুচরো দাম।আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরো বাজারও চাপের মুখে পড়তে চলেছে। কিন্তু খুচরো বাজারে তার তেমন কোনো প্রভাব এই সময়কালের মধ্যে পড়েনি।সূত্রটি বলছে, আন্তর্জাতিক মূল্য যদি এই স্তরে থাকে তবে তেল বিপণন সংস্থাগুলিকে পেট্রোল এবং ডিজেলের খুচরো মূল্য বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। কিন্তু তার নিরিখে গত চার মাস ধরে ভারতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে জ্বালানি তেলের খুচরো মূল্য। স্বাভাবিক ভাবেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য সংশোধনের পথে হাঁটবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলো। ব্রোকারেজ সংস্থা জেপি মরগানের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে। পেট্রল ও ডিজেলের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ইতিমধ্যে জনজীবনের উপরে পড়তে শুরু করেছে। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সোচ্চার হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন। এমনকী বহু বেসরকারি বাসের রুটে বেআইনিভাবে যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষত, ভোজ্য তেল, ডাল-সহ যে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করতে হয় ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সেগুলির উপরে সবথেকে বেশি পড়তে পারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম তুঙ্গে। রাশিয়া থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশংকায় ২০১৪ সালের পর প্রথম বারের মতো আন্তর্জাতিক বাজের অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১১০ ডলারে ছুঁয়ে ফেলেছে।