শীঘ্রই বেলুড়ে বড় বিনিয়োগ আদানির? 

Spread the love

সংবাদ সংস্থা: একসময়ে শিল্পের জন্য হাওড়াকে বলা হতো প্রাচ্যের শেফিল্ড। কিন্তু সে গরিমা হারিয়েছে বহু আগেই। বাম আমলে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া, এই আমলেও বৃহৎ শিল্পের বিকাশ সেভাবে না হওয়ায় বেকারত্ব চরমে। তবে আদানি গোষ্ঠীর হাত ধরে। হাওড়ার শিল্পমুকুটে যোগ হতে চলেছে এক নতুন পালক। অন্তত তেমনটাই বক্তব্য বহুল প্রচারিত একটি বাংলা দৈনিকের প্রতিবেদনে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বেলুড়ে ১০০ একর জমিতে লজিস্টিকস হাব গড়ছে আদানি গোষ্ঠী। তারা আলোকপাত করেছে যে, বেলুড়ের এই প্রকল্পে বিনিয়োগ হতে পারে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। যা এই শিল্পতালুকে কয়েক হাজার কর্মসংস্থানের দিশা দেখাবে। তবে দৈনিকটি এও জানিয়েছে, এই বিষয়ে এখনই সরকারিভাবে কিছু বলতে রাজি হয়নি প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। তাদের অনুমান, আগামী ২০ এপ্রিল বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এই জমি হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে। প্রসঙ্গত, যে জমিতে প্রস্তাবিত লজিস্টিকস হাবটি গড়া হবে বলে জানানো হয়েছে, সেখানে ‘নিসকো’র কারখানা ছিল। অনেকদিন ধরে সেটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। এর আগে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-র অর্থে এখানে শিল্পতালুক গড়ার প্রস্তাবও ছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। যেহেতু ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য হাওড়ার যথেষ্ট সুনাম, তাই এই জমিতে ওই ধরনের ব্যবসার হাব গড়ার চেষ্টা চালাতে থাকে নবান্ন। এর জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার দায়িত্ব বর্তায় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পদপ্তরের উপর। কিন্তু সম্প্রতি বেলুড়ের সেই জমি হাতে এসেছে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের। প্রতিবেদনে প্রকাশ যে, সূত্রের খবর অনুযায়ী সেটি তারা তুলে দেবে আদানি গোষ্ঠীর হাতে। উল্লেখ্য, ভৌগোলিক কারণেই এই জমি লজিস্টিকস হাবের জন্য উপযুক্ত, মত বিশেষজ্ঞদের। রেল স্টেশন, জিটি রোড, বালি ব্রিজ, নিবেদিতা সেতু এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো পরিবহণ পরিকাঠামোগুলি একেবারে এই লজিস্টিকস হাবের নাগালে। পাশাপাশি অমৃতসর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত যে ফ্রেট করিডর তৈরি হচ্ছে, তাও এই এলাকার খুব কাছাকাছি। ফলে পণ্য মজুত ও পরিবহণের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা মিলবে। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে হাওড়ার হৃত গৌরব যে বেশ কিছুটা পুনরুদ্ধার হবে, তা বলাই বাহুল্য।
Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।