
সংবাদ সংস্থা: রীতিমত চিন্তিত হাওড়ার অম্বিকা কুন্ডু বাই লেন এলাকার প্রযুক্তি-প্রেমীরা। বা, বলা যেতে পারে শঙ্কিত। প্রশ্ন উঠেছে, ঘরের কাছেই কি জঙ্গিদের গোপন আস্তানা? মোবাইলে বা কম্পিউটারে ওয়াই-ফাই অন করলেই দেখাচ্ছে আল কায়দা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দুই জঙ্গি সংগঠনের নামে দু’টি নেটওয়ার্ক। আর তাতেই চোখ কপালে উঠেছে। এর পিছনে কারা? সত্যিই কি ওই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক দু’টি চালাচ্ছে কোনও জঙ্গি সংগঠন? এ সব নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। উত্তর না জানা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছেন না কেউই। স্থানীয় বাসিন্দা সৌভিক সেনগুপ্ত বলেন, কে বা কারা এহেন দু’টি জঙ্গী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন তা জানা খুবই দরকার। কারণ যেভাবে চারিপাশে অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়ে চলেছে তা যথেষ্ট চিন্তার। বিষয়টি নিয়ে পুলিশি পদক্ষেপ অবশ্যই প্রয়োজন। আরও এক বাসিন্দা অনিমেষ বসু বলেন, “কারা এই ধরনের নাম ব্যবহার করছে তা জানা দরকার। বিষয়টি জানিয়ে আগেই টুইট করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নজরে আসেনি। আমাদের এলাকাটা শান্তিপ্রিয়। তাই আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।’ হাওড়ার অম্বিকা কুন্ডু বাই লেন এলাকার এক ব্যবসায়ী শৌভিক নাথ বলেন, ”নিজের এলাকায় মোবাইল বা কম্পিউটারে ওয়াই-ফাই অন করলে আশ্চর্য এক কাণ্ড ঘটছে। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সার্চ করলে আসছে দু’টি জঙ্গি সংগঠনের নাম। দেখাচ্ছে ‘আল কায়দা’ এবং ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’-এর মতো দু’টি জঙ্গি সংগঠনের নামে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক রয়েছে। তবে তাতে পাসওয়ার্ড দেওয়া আছে। যে কেউ ওই ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার সংযুক্ত করতে পারবেন না। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার হল, গত এক বছর ধরে এই কাণ্ড ঘটে চলেছে।” শৌভিকের দাবি, বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে তিনি হাওড়া সিটি পুলিশের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন সাইবার ক্রাইম বিভাগকেও। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি পুলিশের মধ্যে। জঙ্গি সংগঠনের নামে নেটওয়ার্কের নাম কারা রেখেছে? এই উদ্বেগে ভুগছেন শৌভিকের মতো অনেককেই। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশি জঙ্গী সংগঠন জেএমবি যোগ পাওয়া গিয়েছিল হাওড়ার বাঁকড়ায়। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল আনিরুদ্দিন আনসারি নামে মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তিকে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ফলে সেই আতঙ্ক এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি হাওড়ার বাসিন্দারা।