
স্নেহা শেঠ/ সংবাদ সংস্থা: ২৫ বছরের বেতন বাকি ছিল। তবে তা হাতে পেতে গত ৩৫ বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। অবশেষে তাঁর মামলার সুরাহা হল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের নির্দেশে আট সপ্তাহের মধ্যে ১০ শতাংশ সুদ-সহ ২৫ বছরের বকেয়া বেতন পাবেন ওই শিক্ষিকা।কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, অবিলম্বে সুদে আসলে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার বেতন মিটিয়ে দিতে হবে।হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের এই রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই শিক্ষিকা। পরে জানান, দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত যে তিনি সুবিচার পেয়েছেন, তাতেই তিনি খুশি।শিক্ষিকার নাম শ্যামলী ঘোষ। এখন তাঁর বয়স ৭৬। হাওড়ার শ্যামপুরের একটি স্কুলে ১৯৭৬ চালে শিক্ষকতার চাকরি পান তিনি। তৎকালীন শিক্ষক নিয়োগের যাবতীয় নিয়ম মেনে ইন্টারভিউ দিয়েই চাকরি পাকা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু ঠিক চার বছরের মাথায় পরিস্থিতি বদলে যায়। স্কুল তাঁকে জানিয়ে দেয়, তাঁর চাকরি চলে গিয়েছে। কেন, কী জন্য চাকরি গেল, তা অবশ্য জানানো হয়নি তাঁকে।অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ ওই শিক্ষিকার মামলাটি লড়েছেন আইনজীবী রবিলাল মৈত্র। তিনি জানিয়েছে, ৩৫ বছর ধরে নিজের দাবি নিয়ে মামলা চালিয়া যাওয়া সহজ ছিল না। পদে পদে নিরাশ হয়েছেন শ্যামলী। তবু থেমে যাননি। লড়াই জারি রেখেছেন।এ ব্যাপারে স্কুল পরিদর্শক এবং শিক্ষা দফতরকে বিশেষ নির্দেশে বলা হয়েছে আট সপ্তাহের মধ্যেই যেন বকেয়া বেতন মেটানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়।
