অনিশ্চয়তার মুখে ‘মিষ্টি হাব’ 

Spread the love

স্বর্ণালী মল্লিক/সংবাদ সংস্থা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর স্বপ্নের প্রকল্প বর্ধমানের ‘মিষ্টি হাব’। এবার সেই স্বপ্নে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের দেওয়া সময়সীমা কোনও কাজে  এল না। মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সিংহভাগ জানিয়ে দিল ‘মিষ্টি হাব’- এ দোকান খোলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ‘মিষ্টির হাবে’ দোকান খোলা ব্যবসায়ীরা অনেকে দাবি করছেন, ক্রেতাদের অভাবে অপার ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। এছাড়াও এই হাব বাঁচাতে জেলা প্রশাসনকে তাদের তরফ থেকে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হলেও সেইগুলি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ফের ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে নারাজ। তবে বর্ধমানের বাম এলাকায় ‘মিষ্টির হাবে’ মোট ২৫ টি দোকান আছে। তারমধ্যে ১৫ টি দোকানই লিখিতভাবে জানিয়ে দেয় ক্ষতি মেনে নিয়ে দোকান খোলা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। উল্লেখ্য, বর্ধমান জাতীয় সড়কের পাশে বহু ল্যাংচা প্রস্তুতকারক সেখানে দোকান নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা চলছে না। যদিও ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রী আসানসোল থেকে উদ্বোধন করেছিলেন বর্ধমানের মিষ্টি হাব। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই প্রকল্প নুয়ে যায়। মূলত বিপণনে মারা থেকে শুরু হয় ‘মিষ্টি হাব’। বিক্রেতাদের ঝাঁপ বন্ধ করতে হয় বিক্রি-বাট্টা না থাকায়। তবে পূর্ব বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এই মিষ্টি হাত বাঁচানোর জন্য কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি। প্রচুর অর্থ ব্যয় এর পাশাপাশি খড়গপুর আইআইটি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেয় তারা।এই প্রসঙ্গে এক প্রশাসনিক আধিকারিকের মন্তব্য, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানের সাথে পাল্লা দিয়ে এই মিষ্টি হাব টিকতে পারছিল না। কারণস্বরূপ তিনি জানান, জাতীয় সড়ক ধরে চলাচলকারি যেসব গাড়ি শক্তিগড়ে স্টপেজ দিয়েছিল ল্যাংচার স্বাদ নিতে। আর তার ফলে খরিদ্দার মিলছিল না।
Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।