স্নেহা শেঠ/ সংবাদ সংস্থা: ইসলাম ধর্মাচরণে হিজাব অপরিহার্য নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে তৈরি হওয়া যাবতীয় বিতর্কে জল ঢেলে ঐতিহাসিক রায় দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। শিক্ষাঙ্গণে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়েছিল, তা খারিজ করে দেয় আদালত। কর্ণাটকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিয়ে বিতর্ক সংক্রান্ত মামলায় আজ রায় দিল হাইকোর্ট । উদুপির এক কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরতে বাধা দেওয়া হয়। সেখান থেকেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। আসরে নামে রাজ্য সরকার। তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকেই সমর্থন দিয়ে জানিয়ে দেয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে ইউনিফর্ম পরার নির্দেশ দেবে তাই মেনে চলতে হবে সকলকে। কিন্তু এই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কিছু মুসলিম ছাত্রী। জমা পড়ে পাঁচটি আবেদন এবং চলে ১১ দফা শুনানি। কিন্তু মুসলিম পড়ুয়াদের অস্বস্তিতে ফেলে ফের হিজাবের বিরুদ্ধেই রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন “এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় আমরা হাইকোর্টের রায় না আসা অবধি এই মামলায় কোনওরকম হস্তক্ষেপ করব না।” এখন হাইকোর্টের রায় সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই এই মামলা সুপ্রিমকোর্টে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের শীর্ষ আদালত কী বলে সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। যদিও কর্নাটক সরকারের দাবি, হিজাব পরার অধিকার সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার (ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ধর্মাচরণের অধিকার আছে সেই ধারায়) আওতায় পড়ে না। বরং তা সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারার (বাকস্বাধীনতার অধিকার) আওতাভুক্ত। অর্থাৎ কেউ যদি হিজাব পরতে না চান, তিনি না পরেই থাকতে পারেন। তাঁর সেই স্বাধীনতা আছে। কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল সওয়াল করেন, হিজাবকে যদি জরুরি ধর্মাচরণ বলে ঘোষণা করা হয়, তাহলে যাঁরা পরবেন না, তাঁদের ধর্মচ্যুত ঘোষণা করা হতে পারে। হাইকোর্টের একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পছন্দের অধিকারের বিষয়টি এক্ষেত্রে আসছে না। কারণ স্কুল এবং কলেজের ইউনিফর্মের বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে।
স্নেহা শেঠ/ সংবাদ সংস্থা: ইসলাম ধর্মাচরণে হিজাব অপরিহার্য নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে তৈরি হওয়া যাবতীয় বিতর্কে জল ঢেলে ঐতিহাসিক রায় দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। শিক্ষাঙ্গণে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে যে সমস্ত আবেদন জমা পড়েছিল, তা খারিজ করে দেয় আদালত। কর্ণাটকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিয়ে বিতর্ক সংক্রান্ত মামলায় আজ রায় দিল হাইকোর্ট । উদুপির এক কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরতে বাধা দেওয়া হয়। সেখান থেকেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। আসরে নামে রাজ্য সরকার। তারা কলেজ কর্তৃপক্ষকেই সমর্থন দিয়ে জানিয়ে দেয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে ইউনিফর্ম পরার নির্দেশ দেবে তাই মেনে চলতে হবে সকলকে। কিন্তু এই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কিছু মুসলিম ছাত্রী। জমা পড়ে পাঁচটি আবেদন এবং চলে ১১ দফা শুনানি। কিন্তু মুসলিম পড়ুয়াদের অস্বস্তিতে ফেলে ফের হিজাবের বিরুদ্ধেই রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন “এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয় আমরা হাইকোর্টের রায় না আসা অবধি এই মামলায় কোনওরকম হস্তক্ষেপ করব না।” এখন হাইকোর্টের রায় সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই এই মামলা সুপ্রিমকোর্টে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের শীর্ষ আদালত কী বলে সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। যদিও কর্নাটক সরকারের দাবি, হিজাব পরার অধিকার সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার (ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ধর্মাচরণের অধিকার আছে সেই ধারায়) আওতায় পড়ে না। বরং তা সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারার (বাকস্বাধীনতার অধিকার) আওতাভুক্ত। অর্থাৎ কেউ যদি হিজাব পরতে না চান, তিনি না পরেই থাকতে পারেন। তাঁর সেই স্বাধীনতা আছে। কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল সওয়াল করেন, হিজাবকে যদি জরুরি ধর্মাচরণ বলে ঘোষণা করা হয়, তাহলে যাঁরা পরবেন না, তাঁদের ধর্মচ্যুত ঘোষণা করা হতে পারে। হাইকোর্টের একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পছন্দের অধিকারের বিষয়টি এক্ষেত্রে আসছে না। কারণ স্কুল এবং কলেজের ইউনিফর্মের বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে।