রামপুরহাটে বাম-বিজেপির প্রতিনিধিদল

Spread the love

স্নেহা শেঠ/ সংবাদ সংস্থা: রাতারাতি শিরোনামে উঠে এসেছে বীরভূমের রামপুরহাটের অখ্যাত বগটুই গ্রাম। সেই গ্রামেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান খুন এবং তার পর বেশ কয়েক জনের হত্যার অভিযোগের ঘটনা নিয়ে তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ, এই ঘটনার পর সোমবার রাতভর তাণ্ডব চলে বগটুইয়ে। দুষ্কৃতীরা গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাতভর চলে বোমাবাজি। মঙ্গলবার দমকলের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনায় এখনও অবধি ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।যদিও পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, এখনও অবধি সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে ডিআইজি-সিআইডির নেতৃত্বে দল যাচ্ছে রামপুরহাটে। গঠন করা হচ্ছে সিটও। এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বীরভূমে পুলিশের ক্ষমতা কতটা? স্থানীয়রা বলছেন গ্রামে পুলিশ ছিল সে সময়। তা হলে নির্বিচারে যখন একের পর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল, তখন তারা কোথায় ছিল? এই ঘটনার পর থেকে ফের এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।বগটুইতে পা রাখতে চলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা রামপুরহাটের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছে রাতেই জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে‌ন। জানা গিয়েছে সকাল সকালই বগটুই পৌঁছতে চাইছেন বাম নেতৃত্ব।গোটা গ্রাম এখন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। সেই ঘেরাটোপ এড়িয়ে বিজেপি এবং বামেদের প্রতিনিধি দল ওই গ্রামে প্রবেশ করতে পারবে কি না তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে দু’পক্ষেরই। একইসঙ্গে সঙ্ঘাতের আবহও তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সতর্ক রয়েছে পুলিশ-প্রশাসনও।
Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।