সৌম্যদ্বীপ দাস: বছরের বেশির ভাগ সময়ই এক হাঁটু জল, তাতে আপন মনে চাষ হচ্ছে কচুরিপানা, খেলে বেড়াচ্ছে মাছ-সাপ। অভিযোগ, আন্দুলের আরগোড়ী খেলার মাঠের বর্তমান অবস্থা এরকমই। দেখলে বোঝা দায় এটা মাঠ নাকি জলাশয়। ২০০৯ সালে মাঠের উন্নতির জন্য তৎকালীন সাংসদ স্বদেশ চক্রবর্তী মাঠে তৈরি করেছিলেন একটি স্টেডিয়াম। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, তাতে খেলার উন্নতিতো দূর, বর্তমানে আর খেলার যোগ্যই নেই সে মাঠ। অভিযোগ, শুধু মাঠই নয়, বর্ষা এলেই গোটা এলাকাটাই চলে যায় জলের তলায়। এলাকার জল নামলেও মাঠটি নিচু হওয়ায় সব জল জমা হয়ে মাঠটি পরিণত হয় আস্ত এক জলাশয়ে। প্রবীণরা জানান, প্রায় ১৪০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২০ মিটার প্রস্থের মাঠটির অবস্থা ভালো থাকার সময় স্থানীয় ছেলেরা সকালে-বিকালে খেলাধুলো করতো। করানো হত ফুটবল প্র্যাকটিসও। পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের মানুষ শরীরচর্চা করতেও আসতো। কিন্তু দীর্ঘদিন মাঠটির জল নিকাশির সংস্কার না হওয়ায় মাঠের এমন অবস্থা দেখে এখন এলাকার প্রবীণদের চোখে জল আসার জোগাড়। আর এর জন্য মাঠের দক্ষিণে অপরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা কারখানাগুলিকেই মাঠের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, কারখানাগুলি গড়ে ওঠার সময় জল নিকাশির ব্যবস্থা না রেখেই গড়ে তোলা হয়েছিল। যার ফল আজ গোটা এলাকাবাসীদের ভুগতে হচ্ছে।বর্ষা তো বটেই সামান্য বৃষ্টিতেও জলযন্ত্রনায় ভুগতে হয় সবাইকে। পঞ্চায়েত থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে জানিয়েও কাজ হয়নি বলেই তাঁদের দাবি। বয়স্করা জানাচ্ছেন, খেলার মাঠটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকার কিশোর-যুবকদের মধ্যে কমছে খেলাধূলার ও শরীরচর্চার প্রবণতা। এলাকাবাসীদের দাবি, পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক তাদের মাঠটিকে। অবিলম্বে সংস্কার করা হোক মাঠটি।জল নিকাশির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। নাহলে এলাকার কিশোর-যুবকদের এভাবেই বঞ্চিত হতে হবে মাঠের থেকে,তাদের মধ্যে আরও বাড়বে মোবাইল আসক্তি।
সৌম্যদ্বীপ দাস: বছরের বেশির ভাগ সময়ই এক হাঁটু জল, তাতে আপন মনে চাষ হচ্ছে কচুরিপানা, খেলে বেড়াচ্ছে মাছ-সাপ। অভিযোগ, আন্দুলের আরগোড়ী খেলার মাঠের বর্তমান অবস্থা এরকমই। দেখলে বোঝা দায় এটা মাঠ নাকি জলাশয়। ২০০৯ সালে মাঠের উন্নতির জন্য তৎকালীন সাংসদ স্বদেশ চক্রবর্তী মাঠে তৈরি করেছিলেন একটি স্টেডিয়াম। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, তাতে খেলার উন্নতিতো দূর, বর্তমানে আর খেলার যোগ্যই নেই সে মাঠ। অভিযোগ, শুধু মাঠই নয়, বর্ষা এলেই গোটা এলাকাটাই চলে যায় জলের তলায়। এলাকার জল নামলেও মাঠটি নিচু হওয়ায় সব জল জমা হয়ে মাঠটি পরিণত হয় আস্ত এক জলাশয়ে। প্রবীণরা জানান, প্রায় ১৪০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২০ মিটার প্রস্থের মাঠটির অবস্থা ভালো থাকার সময় স্থানীয় ছেলেরা সকালে-বিকালে খেলাধুলো করতো। করানো হত ফুটবল প্র্যাকটিসও। পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সের মানুষ শরীরচর্চা করতেও আসতো। কিন্তু দীর্ঘদিন মাঠটির জল নিকাশির সংস্কার না হওয়ায় মাঠের এমন অবস্থা দেখে এখন এলাকার প্রবীণদের চোখে জল আসার জোগাড়। আর এর জন্য মাঠের দক্ষিণে অপরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা কারখানাগুলিকেই মাঠের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, কারখানাগুলি গড়ে ওঠার সময় জল নিকাশির ব্যবস্থা না রেখেই গড়ে তোলা হয়েছিল। যার ফল আজ গোটা এলাকাবাসীদের ভুগতে হচ্ছে।বর্ষা তো বটেই সামান্য বৃষ্টিতেও জলযন্ত্রনায় ভুগতে হয় সবাইকে। পঞ্চায়েত থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে জানিয়েও কাজ হয়নি বলেই তাঁদের দাবি। বয়স্করা জানাচ্ছেন, খেলার মাঠটি সংস্কার না হওয়ায় এলাকার কিশোর-যুবকদের মধ্যে কমছে খেলাধূলার ও শরীরচর্চার প্রবণতা। এলাকাবাসীদের দাবি, পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক তাদের মাঠটিকে। অবিলম্বে সংস্কার করা হোক মাঠটি।জল নিকাশির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। নাহলে এলাকার কিশোর-যুবকদের এভাবেই বঞ্চিত হতে হবে মাঠের থেকে,তাদের মধ্যে আরও বাড়বে মোবাইল আসক্তি।