হাওড়ায় “৫২” আজ ১০০-র চৌকাঠে 

Spread the love

  সৌমিতা খাঁ/ সংবাদ সংস্থা : শতবর্ষের দোরগোড়ায় হাওড়ার প্রথম বাস রুট। ১৯২৩ সালে শুরু হওয়া ৫২ নম্বর বাস বছর পার হলেই ১০০ ছোঁবে। এই উপলক্ষেই ৫২ রুটের বাস মালিক সহ চালক ও কন্ডাক্টরেরা কেক কেটে বাসগুলির জন্মদিন উদযাপন করলেন। বাস স্ট্যান্ড সাজানো হল বেলুন ও প্ল্যাকার্ড দিয়ে। ১০০ বছর পূর্বে অর্থাৎ স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ সরকার অনুমোদন দিয়েছিল এই বাস রুটের। ব্রিটিশ আমলে কয়লার ইঞ্জিনের সাহায্যে এবং মাটির রাস্তায় ঢিমে গতিতে এই রুটের বাস চলাচল করত। সময়ের পরিবর্তন এর সাথে সাথে পাল্টেছে বাসের যন্ত্র এবং রাস্তার ধরণ। কিন্তু থেমে থাকেনি এই রুটের বাসের চাকা। জানা যায়, ৫২নং বাস রুটটি সংবিধান বিলে পাশ করানো। তাই এই রুট কখনোই বন্ধ করা যাবে না। এই রুটের বাস মালিকরা জানান, স্বাধীনতার পরে এই রুটে ৪২টি বাস চলত। এখন সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২৯ টিতে। ব্রিটিশ আমলে এই রুটের বাস চলত রামরাজাতলা থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত। ১৯৮০ সালে সেটিকে ধর্মতলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়। পরবর্তীকালে এই রুটের আরও বিস্তৃতি ঘটে। এক দিকে খটিরবাজার থেকে হাওড়া স্টেশন, অন্য দিকে ইছাপুর থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত চলাচল শুরু করে ৫২ নম্বর বাস। ১৯৮৫ সাল থেকে মধ্য হাওড়ার সুরকিকল থেকে ধর্মতলা এবং চ্যাটার্জিহাট-ধর্মতলা রুটে শুরু হয় পরিষেবা। এই রুটের বাস স্ট্যান্ড আগে ছিল রামরাজাতলার রাম মন্দিরের সামনে, যা কার্যত ঘিঞ্জি এলাকা। ২০১২ সালে এই স্ট্যান্ডটিকে তুলে নিয়ে আসা হয় কিছুটা দূর রামরাজাতলা বাজারে। বিধায়ক ও সাংসদ তহবিলের টাকায় তৈরি হয় নতুন সেই বাসস্ট্যান্ডটি। তবে ৫২ নম্বর রুটের বাসমালিক, চালকদের বক্তব্য, প্রাচীন এই বাস রুটটি এখন যাত্রীর অভাবে ধুঁকছে। মালিকদের লোকসান হওয়ায় তারা অনেকে বাসও তুলে নিচ্ছেন। আধুনিক মানের বাস স্ট্যান্ড তৈরি করে প্রাচীন এই রুটটি যাতে আগের মত চলতে পারে এই দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।