স্নেহা শেঠ/ সংবাদ সংস্থা (ছবি সৌজন্যে- সায়ন হাজরা): গানে গানে বলেছিলেন ছোটিসি হ্যায় জিন্দেগী…। সত্যিই কি এইটুকুই সফর ছিল তাঁর? মানছেন না ভক্তরা। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী- চোখ ভিজছে সকলের।জীবনের প্রতিটি বিচ্ছেদ ব্যথায় তাঁর গান, প্রত্যেক হৃদয় মোচড়ে তাঁর গলার সেই আবেদন। ১৯৭০ সালের ২৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এই গায়ক। কে কে হিন্দি ছাড়াও মারাঠি, বাংলা, গুজরাটি, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড় এবং তামিল গানে তার কণ্ঠ দিয়েছেন। তার মিষ্টি কন্ঠ সবার মন ছুঁয়ে গেছে। কে কে সঙ্গীত অ্যালবাম ‘ইয়ে পল’ দিয়ে গায়ক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কলকাতায় একটি কনসার্ট করতে এসেছিলেন গায়ক।মৃত্যুর সময় বলিউড কাঁপানো এই গায়কের বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি হিন্দিতে ২০০টিরও বেশি গান গেয়েছেন। হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি।তাঁর প্রধান গানের মধ্যে রয়েছে ‘ইয়ারন’, ‘পাল’, ‘কোই কাহে কেহতা রাহে’, ‘ম্যায় দিল সে কাহা’, ‘আওয়ারাপান বানজারাপন’, ‘দস বাহানে’, ‘আজব সি’, ‘খুদা জানে’ এবং ‘দিল ইবাদত’, ‘তু হি মেরি শাব হ্যায়’-এর মতো গান বন্ধুত্ব থেকে রোম্যান্স অথবা ভারাক্রান্ত মন, এই প্রজন্মের কাছে সবকিছুর সমাধানই ছিল কেকে-এর গান। কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, যাঁর গলার যাদুতে দেশবাসী মুগ্ধ। আনুষ্ঠানিক গানের তালিম না থাকলেও এক অদ্ভুত টান ছিল তাঁর গানের মধ্যে। শ্রোতারা সেই টানে নিজেদের না ভাসিয়ে থাকতে পারতেন না। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত গোটা সঙ্গীত জগৎ। কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান গাইতে এসেছিলেন। সেখানেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে শিল্পীকে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গায়কের মৃত্যুতে শোকাহত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এক রঙিন ফ্ল্যাশ বাল্বের মাঝখানে দাঁড়িয়ে কনসার্টের শেষ গান ধরেছিলেন কে কে,তখনও বুঝতে পারেননি, জীবনের শেষ কনসার্টের শেষ গান হতে চলেছে এটাই। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই বুধবার সকালেই প্রয়াত শিল্পী কেকে-র দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই কেকে-র মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন চিকিত্সকরা। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হতেই ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।আজ সকালেই কলকাতায় এসে পৌঁছবেন কেকে-র স্ত্রী, পুত্র সহ পরিবারের সদস্যরা। সম্ভবত তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হবে। জীবন বড় নিষ্ঠুর। সেই স্টেজে গাইতে যাওয়াই বুঝি কাল হল। দিল্লি থেকে যাঁর শুরু হয়েছিল, বম্বে কাঁপানোর পর হঠাত্ কলকাতায় এসে থেমে গেল তাঁর সুর। বড় অকালে চলে গেলেন কে কে। এরপর হয়তো উনি না ফেরার দেশে নিজের সুরের জাদু দিয়ে মুগ্ধ করবেন অপ্সরা কিন্নরীদের। আর দূর থেকে তাঁর লাখ লাখ ভক্তদের কানে ভেসে থাকবে তাঁর অমর সৃষ্টি, ‘হম র্যাহে ইয়া না র্যাহে কল, কল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল’।
স্নেহা শেঠ/ সংবাদ সংস্থা (ছবি সৌজন্যে- সায়ন হাজরা): গানে গানে বলেছিলেন ছোটিসি হ্যায় জিন্দেগী…। সত্যিই কি এইটুকুই সফর ছিল তাঁর? মানছেন না ভক্তরা। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী- চোখ ভিজছে সকলের।জীবনের প্রতিটি বিচ্ছেদ ব্যথায় তাঁর গান, প্রত্যেক হৃদয় মোচড়ে তাঁর গলার সেই আবেদন। ১৯৭০ সালের ২৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এই গায়ক। কে কে হিন্দি ছাড়াও মারাঠি, বাংলা, গুজরাটি, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড় এবং তামিল গানে তার কণ্ঠ দিয়েছেন। তার মিষ্টি কন্ঠ সবার মন ছুঁয়ে গেছে। কে কে সঙ্গীত অ্যালবাম ‘ইয়ে পল’ দিয়ে গায়ক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কলকাতায় একটি কনসার্ট করতে এসেছিলেন গায়ক।মৃত্যুর সময় বলিউড কাঁপানো এই গায়কের বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি হিন্দিতে ২০০টিরও বেশি গান গেয়েছেন। হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি।তাঁর প্রধান গানের মধ্যে রয়েছে ‘ইয়ারন’, ‘পাল’, ‘কোই কাহে কেহতা রাহে’, ‘ম্যায় দিল সে কাহা’, ‘আওয়ারাপান বানজারাপন’, ‘দস বাহানে’, ‘আজব সি’, ‘খুদা জানে’ এবং ‘দিল ইবাদত’, ‘তু হি মেরি শাব হ্যায়’-এর মতো গান বন্ধুত্ব থেকে রোম্যান্স অথবা ভারাক্রান্ত মন, এই প্রজন্মের কাছে সবকিছুর সমাধানই ছিল কেকে-এর গান। কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ, যাঁর গলার যাদুতে দেশবাসী মুগ্ধ। আনুষ্ঠানিক গানের তালিম না থাকলেও এক অদ্ভুত টান ছিল তাঁর গানের মধ্যে। শ্রোতারা সেই টানে নিজেদের না ভাসিয়ে থাকতে পারতেন না। তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত গোটা সঙ্গীত জগৎ। কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান গাইতে এসেছিলেন। সেখানেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে শিল্পীকে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গায়কের মৃত্যুতে শোকাহত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এক রঙিন ফ্ল্যাশ বাল্বের মাঝখানে দাঁড়িয়ে কনসার্টের শেষ গান ধরেছিলেন কে কে,তখনও বুঝতে পারেননি, জীবনের শেষ কনসার্টের শেষ গান হতে চলেছে এটাই। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই বুধবার সকালেই প্রয়াত শিল্পী কেকে-র দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই কেকে-র মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন চিকিত্সকরা। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হতেই ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।আজ সকালেই কলকাতায় এসে পৌঁছবেন কেকে-র স্ত্রী, পুত্র সহ পরিবারের সদস্যরা। সম্ভবত তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হবে। জীবন বড় নিষ্ঠুর। সেই স্টেজে গাইতে যাওয়াই বুঝি কাল হল। দিল্লি থেকে যাঁর শুরু হয়েছিল, বম্বে কাঁপানোর পর হঠাত্ কলকাতায় এসে থেমে গেল তাঁর সুর। বড় অকালে চলে গেলেন কে কে। এরপর হয়তো উনি না ফেরার দেশে নিজের সুরের জাদু দিয়ে মুগ্ধ করবেন অপ্সরা কিন্নরীদের। আর দূর থেকে তাঁর লাখ লাখ ভক্তদের কানে ভেসে থাকবে তাঁর অমর সৃষ্টি, ‘হম র্যাহে ইয়া না র্যাহে কল, কল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল’।