
সৌমিতা খাঁ/ সংবাদ সংস্থা: মহামারীর জেরে স্কুল বন্ধ ছিল প্রায় দু বছর। এইবছর বড়ো থেকে খুদে সকলেরই স্কুল খুলে গেছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে যা গরম বেড়েছে, আগাম গরমের দিনগুলো নিয়ে সবারই প্রায় এখন থেকে ঘাম ঝরছে। প্রায় দুবছর বাড়িতে থাকার ফলে শিশুদের স্কুলে যাওয়া হয়ে উঠতে পারে কষ্টদায়ক। তার জন্য প্রত্যেক শিশুদের ক্ষেত্রেই নিতে হবে বাড়তি কিছু যত্ন। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহের জেরে শিশুর ডিহাইড্রেটেড হতে পারে। যার ফলে মাথা ঘোরা, বমি করা হতে পারে। এমনকি সান স্ট্রোকও হতে পারে। গরমকালে শিশুর হাইড্রেশন বজায় রাখতে যতটা সম্ভব পানীয় জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। তাতে শিশু থাকবে স্বাভাবিক সক্রিয়। প্রতিদিন ২-৩লিটার জল পান করান। পানীয় জলের সঙ্গে হাইড্রেটেড রাখতে নারকেল জল, লেবুর জল, বেলের শরবত দিতে পারেন। এছাড়াও শিশুদের বাইরে বেরিয়ে খেলাধুলা, সাইকেল চালানো থেকে যতটা আটকে রাখা যায়, ওদের জন্য তত ভালো হবে। গরমের এই প্রখর তাপে শিশুদের হালকা রঙের নরম সুতির জামাকাপড় পড়াতে হবে, যাতে ঘাম তাড়াতাড়ি শোষণ করে নেয়। এছাড়া সুতির জামাকাপড় প্রচণ্ড গরমের কারণে ত্বকের ফুসকুড়ি এবং চুলকানি প্রতিরোধ করে। এছাড়া বাইরে বেরোনোর সময় বাচ্চাদের টুপি পরাতে হবে কিংবা সঙ্গে ছাতা দিতে হবে। গরমের সময় যতটা সম্ভব কম তেলযুক্ত খাবার শিশুদের দেওয়া উচিত। যাতে করে তাদের কোনোরকম শারীরিক গোলযোগ এর সৃষ্টি হয়। শিশুদের এই সময় বেশি করে ফলমূল, মরশুমী তাজা সবজি খাওয়াতে হবে।