রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রে এবার আরও রোপওয়ে, লাইট অ্যান্ড সাউন্ড

Spread the love

স্বর্ণালী মল্লিক/ সংবাদ সংস্থা : গত দু’বছর ধরে অতিমারীর সময়ে রাজ্যের ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গাগুলি পর্যটকদের জন্য বিশেষ পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে। রাজ্য সরকার এই পর্যটন শিল্পগুলিকে নিয়ে এবার চলতে শুরু করেছে এক নতুন গতিপথে। পর্যটকদের আরও পর্যটনস্থানমুখী করতে জোর দেওয়া হচ্ছে পরিকাঠামো ও পরিষেবা উন্নয়নের দিকে। যার মধ্যে সবথেকে আকর্ষনীয় রোপওয়ে ও লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের ব্যবস্থা। রাজ্যের মোট পাঁচটি পর্যটন কেন্দ্রে রোপওয়ে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্যটন দপ্তর। এর পাশাপাশি আরও পাঁচটি জায়গায় থাকবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের ব্যবস্থা। এই কাজের জন্য পরামর্শদাতা সংস্থা নিয়োগ করছে রাজ্য। রোপওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পুরুলিয়ার অযোধ্যা, বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর, জলপাইগুড়ির গাজলডোবা, দার্জিলিংয়ের মিরিক ও মুর্শিদাবাদে‌। রাজ্যের এক আধিকারিকের বক্তব্য, এই পাঁচটি জায়গাই যথেষ্ট জনপ্রিয়। প্রতিবছর কয়েক হাজার মানুষ এখানে বেড়াতে যান। রোপওয়ে তৈরি হলে, এই জায়গাগুলিতে বেড়াতে যাওয়ার আগ্রহ আরও বাড়বে। দার্জিলিংয়ে‌ বর্তমানে অবস্থিত যে রোপওয়ে আছে তার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘ওখানে রোপওয়ে করে পর্যটকরা এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে যায়। নিচে চা বাগান। তার সঙ্গে আশপাশের ছোট ছোট গ্রামের মনোরম দৃশ্য। নির্জন একটি পাহাড়ের উপর কিছুক্ষণ কাটিয়ে আবার রোপওয়ে করেই ফিরে আসা। মিরিক মানুষ মূলত যায় দার্জিলিং থেকে ফেরার পথে। চা বাগান দেখতে ও মিরিক লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। অতএব ওখানেও রোপওয়ে ব্যবস্থা চালু হলে, চা বাগানের ও লেকের বার্ডস আই ভিউ পেতে পারেন পর্যটকরা। ঠিক একইভাবে বাকি চারটি জায়গাতেও পর্যটক টানতে সাহায্য করবে এই ব্যবস্থা।’ লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ব্যবস্থা চালু করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মুর্শিদাবাদের ওয়াসিফ মঞ্জিল ও মতিঝিলে, ব্যরাকপুরের মালঞ্চে, হুগলির চন্দননগরে, আলিপুরদুয়ারের জলদাপারায়। লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে পর্যটকদের দেখানো হবে ওই জায়গাগুলির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, শিল্পকলা, ঐতিহাসিক গুরুত্ব, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিষয়গুলি। কিছু পর্যটনকেন্দ্রে ইতিমধ্যে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। সন্ধ্যেবেলায় যা দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ে। আধিকারিক জানান ‘মুর্শিদাবাদের ইতিহাস কমবেশি সকলেরই জানা। তা লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হলে, মুর্শিদাবাদের পর্যটনশিল্পে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।