বৈবাহিক ধর্ষণের মামলায় মতপার্থক্য বিচারপতিদের মধ্যে

Spread the love

শ্রেয়া ঘোষ/ সংবাদ সংস্থা: দ্বিধাবিভক্ত রায়ের মুখে বৈবাহিক ধর্ষণ ।এই মামলার প্রেক্ষিতে জমা হয় একাধিক পিটিশন এবং দ্বিধাবিভক্ত রায়ের উৎখাত হয় দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চের। বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধমূলক কিনা সেই  প্রশ্নের জেরে  দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রাজীব শাকধের ও বিচারপতি হরিশঙ্করের বেঞ্চে দায়ের হয়েছিল এই মামলা।  দুই বিচারপতির মত ভিন্ন হওয়ায় এবারে বৈবাহিক ধর্ষণের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা সিদ্ধান্ত নেবে  শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। এই প্রেক্ষিতেই শুনানি শেষে বিচারপতি শাকধের নিজের রায়ে জানান, “স্ত্রীয়ের সম্মতি ছাড়া বা বলপূর্বক যেখানে স্বামীর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি আসছে সেখানে এটা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪,১৯ এবং ২১-এর পরিপন্থী। এতে একজন নারীর সমানাধিকার(Right to Equality), বাক-স্বাধীনতা এবং অনুভূতি ( Freedom of Speech and Expression) নিজের জীবন ও লজ্জা রক্ষার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে (Protection of Life and Personal Liberty) ।”এই রায় শুনে বিচারপতি শঙ্করের জবাব , “মাফ করবেন, আমি আমার সহকর্মী বন্ধুর সঙ্গে সহমত নই।” তাঁর মতে, “আমি এর মধ্যে এমন কিছু দেখছি না যা অনুচ্ছেদ ১৪,১৯ এবং ২১-এর পরিপন্থী। এটা স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়।”এই প্রসঙ্গে বিচারপতি হরিশঙ্কর সেকশন ৩৭৬বি ও ১৯৮বি‌ কথা উল্লেখ করেন। এইরূপ ভিন্ন মতামত সৃষ্টি হওয়ায় হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে যাবার পরামর্শ দেন । বিবাহিত দম্পতির মধ্যে বলপূর্বক বা অসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে অপরাধ বলে ধরা হবে কিনা সেই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় এবার সুপ্রিম কোর্টের হাতে।
Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।