অঙ্কিতা মাইতি/ সংবাদ সংস্থা: নিউ মার্কেটের পুরনো কমপ্লেক্সের পাশাপাশি প্রাচীনতম ফুটনানি চেম্বারের সংস্কার কী ভাবে সম্ভব, তা নিয়ে কলকাতা পুরসভায় পর্যায়ক্রমে আলোচনা চলছে। পুরসভার সংস্কারে নিযুক্ত পরামর্শদাতাদের রিপোর্ট থেকে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য,ফুটনানি চেম্বারের এসএন ব্যানার্জি রোডের দিকের একাংশ বসে গিয়েছে।বিশেষজ্ঞ দলের প্রাথমিক হিসাব বলছে, ভিতের ভার বহনের ক্ষমতার তুলনায় কমপক্ষে ২৫-৩০ হাজার বর্গফুট অতিরিক্ত নির্মাণ করা হয়েছে ওই ভবনে।ফুটনানি চেম্বারের মূল কাঠামো অক্ষত রেখে সংস্কার করা নিয়ে সংশয়ী বিশেষজ্ঞ দল। কাঠামোর যা অবস্থা, তাতে এই কাজ ঝুঁকির বলেই মনে করছে তারা।বিশেষজ্ঞ দলের অন্য সদস্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগের অধ্যাপক গোকুল মণ্ডল বলছেন, ‘‘বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও কাঠামোর ভার বহনের ক্ষমতা কমে। ফলে অতিরিক্ত কোনও নির্মাণে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। ফুটনানি চেম্বারের ক্ষেত্রে বিপরীত ঘটনা ঘটেছে। ইচ্ছে মতো কাঠামো গড়ে ভিতের উপরে অতিরিক্ত ভার চাপানো হয়েছে।’’এছাড়াও ফুটানানি চেম্বার সংস্কার করতে গেলে ঐখানকার বিক্রেতাদের সরাতে হবে যাতে তারা একদমই রাজি নয়।পুরকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১৯১০-’১১ সালে ‘হিন্দুস্থান কোম্পানি ইনশিয়োরেন্স’ নামে একটি সংস্থাকে ৯৯ বছরের জন্য ফুটনানি চেম্বার লিজ়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষ। এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ‘সাব লিজ হোল্ডার’ হিসেবে দখল করে রাখা হয়েছিল।২০১৮ সালে আদালতের রায়ে পুরর দখলে আসে।পুরসভার এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘ওই ভবনে আবাসিক, রেস্তরাঁ, দোকানপাট-সহ ১৮০ জনের মতো ভাড়াটে আছেন। সবাই বেআইনি দখলদার। কারণ এমনিও তারা আইনি লড়াইএ হেরেও গিয়েছে এবং তাঁদের মেয়াদ ও শেষ। এখন মূল চিন্তার বিষয় এই প্রাচীন ফাটলযুক্ত চেম্বার কিভাবে ঝেমেলা ঝঞ্ঝা ছাড়া সংস্কার করা যাবে।
অঙ্কিতা মাইতি/ সংবাদ সংস্থা: নিউ মার্কেটের পুরনো কমপ্লেক্সের পাশাপাশি প্রাচীনতম ফুটনানি চেম্বারের সংস্কার কী ভাবে সম্ভব, তা নিয়ে কলকাতা পুরসভায় পর্যায়ক্রমে আলোচনা চলছে। পুরসভার সংস্কারে নিযুক্ত পরামর্শদাতাদের রিপোর্ট থেকে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য,ফুটনানি চেম্বারের এসএন ব্যানার্জি রোডের দিকের একাংশ বসে গিয়েছে।বিশেষজ্ঞ দলের প্রাথমিক হিসাব বলছে, ভিতের ভার বহনের ক্ষমতার তুলনায় কমপক্ষে ২৫-৩০ হাজার বর্গফুট অতিরিক্ত নির্মাণ করা হয়েছে ওই ভবনে।ফুটনানি চেম্বারের মূল কাঠামো অক্ষত রেখে সংস্কার করা নিয়ে সংশয়ী বিশেষজ্ঞ দল। কাঠামোর যা অবস্থা, তাতে এই কাজ ঝুঁকির বলেই মনে করছে তারা।বিশেষজ্ঞ দলের অন্য সদস্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগের অধ্যাপক গোকুল মণ্ডল বলছেন, ‘‘বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও কাঠামোর ভার বহনের ক্ষমতা কমে। ফলে অতিরিক্ত কোনও নির্মাণে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। ফুটনানি চেম্বারের ক্ষেত্রে বিপরীত ঘটনা ঘটেছে। ইচ্ছে মতো কাঠামো গড়ে ভিতের উপরে অতিরিক্ত ভার চাপানো হয়েছে।’’এছাড়াও ফুটানানি চেম্বার সংস্কার করতে গেলে ঐখানকার বিক্রেতাদের সরাতে হবে যাতে তারা একদমই রাজি নয়।পুরকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১৯১০-’১১ সালে ‘হিন্দুস্থান কোম্পানি ইনশিয়োরেন্স’ নামে একটি সংস্থাকে ৯৯ বছরের জন্য ফুটনানি চেম্বার লিজ়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষ। এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ‘সাব লিজ হোল্ডার’ হিসেবে দখল করে রাখা হয়েছিল।২০১৮ সালে আদালতের রায়ে পুরর দখলে আসে।পুরসভার এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘ওই ভবনে আবাসিক, রেস্তরাঁ, দোকানপাট-সহ ১৮০ জনের মতো ভাড়াটে আছেন। সবাই বেআইনি দখলদার। কারণ এমনিও তারা আইনি লড়াইএ হেরেও গিয়েছে এবং তাঁদের মেয়াদ ও শেষ। এখন মূল চিন্তার বিষয় এই প্রাচীন ফাটলযুক্ত চেম্বার কিভাবে ঝেমেলা ঝঞ্ঝা ছাড়া সংস্কার করা যাবে।